আলোর স্বল্পতায় শেষ সেশন পরিত্যক্ত

আলোর স্বল্পতায় শেষ সেশন পরিত্যক্ত

ঢাকা: শুরু থেকেই মেঘলা আবহাওয়া। দিনের সপ্তম ওভার থেকে ফ্লাড লাইটের আলোতে হয়েছে ম্যাচ। দ্বিতীয় সেশনে ২৫ মিনিট ঝির-ঝির বৃষ্টি আর শেষ সেশনের পুরোটা আলোর স্বল্পতার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

টি ব্রেকের পর ৩টা ৩ মিনিটে মাঠে ঢুকে লাইট মিটার দিয়ে পর্যাপ্ত আলো না পাওয়ায় দিনের শেষ সেশনের খেলা আর হয়নি। ৪.০৫ মিনিটের মাথায় প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত করতে বাধ্য হয়েছেন দুই আম্পায়ার।

প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৫৭ ওভার। হয়নি ৩৩ ওভার। দিনের দ্বিতীয় ঘণ্টায় তাইজুল দ্যুতি, তৃতীয় এবং চতুর্থ ঘণ্টায় বাবর-আজহারের জুটি ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে ব্যাড লাইট

দিনের দ্বিতীয় ঘণ্টায় পাকিস্তানকে আতঙ্কে রেখেছেন বাংলাদেশ স্পিন জুটি। এই ঘণ্টায় ২৪ রান উঠতে হারিয়েছে পাকিস্তান দুই ওপেনার। তবে এই ঘণ্টায় ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি তৃতীয় এবং চতুর্থ ঘন্টায়। উইকেটহীন এই সেশনে উঠেছে উইকেটহীন ৮৩রান। টি ব্রেকের সময়ে পাকিস্তানের স্কোর ১৬১/২।

মুমিনুল চেয়েছেন মিরপুরে ফ্লাট উইকেট। পেয়েছেন স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেট। প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টার পরই উইকেটে ধরেছে স্পিন। তাইজুলের স্পিন ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। তার একটা স্পেলে (১১-৩-২৮-২ ) প্রথম সেশনে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৭৮/২। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটির ৯১ রানে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নেয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ঝির ঝির বৃষ্টির কারণে ২৫ মিনিট খেলা স্থগিত থাকার পর বোলারদের গর্জনের প্রত্যাশা করেছিল সবাই। তবে তা পারেনি বাংলাদেশ বোলাররা।

অবশ্য টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম ঘণ্টা ভালোই কাটিয়েছে পাকিস্তান। এই ঘণ্টায় পকিস্তানের স্কোর ছিল ৫৪/০। মেঘলা আবহাওয়ায় ৭ম ওভার থেকে ফ্লাড লাইটে খেলা চলেছে। এমন কন্ডিশনে পেসারদের গর্জে ওঠার কথা। অথচ, দুই পেসার এবাদত (৫-১-১৫-০), খালেদ (৪-১-১৯-০) এর পেস নির্বিষ দেখিয়েছে। বাংলাদেশ পেস জুটির বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দে্য ব্যাটিং করতে পেরেছে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি।

প্রথম ঘণ্টায় উইকেটহীন ৫৪ রানে বড় স্কোরের সম্ভাবনা দেখেছে বাবর আজমের দল। তবে ড্রিংকসের পর দৃশ্যপটে পরিবর্তন এসেছে। তাইজুলকে ডিফেন্স করতে যেয়ে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে শফিক হয়েছেন বোল্ড (৫০ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ২৫)। তাইজুলের পরের ওভারে চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলীও হয়েছেন বোল্ড (৮১ বলে ৬ চার এ ৩৯)।এই সেশনে দুটি রিভিউ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ।

দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাবর-আজহার আলী জুটিকে আতঙ্কে ফেলতে পারেননি তাইজুল, সাকিব, মিরাজ। সাকিবের বলে বাবর আজম একবার দিয়েছিলেন সুযোগ। লং অনে বাবর আজমের ক্যাচ ব্যাক ডাইভে ধরার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন খালেদ। তবে ব্যর্থ হয়েছে তার সে চেষ্টা। ৩৯ রানের মাথায় বেঁচে যাওয়া বাবর আজম এবার বাংলাদেশ সফরে প্রথম ফিফটির মুখ দেখেছেন। ৭৫ বলে ৭ চার, ১ ছক্কায় ৩৭ তম টেস্টে ১৫তম ফিফটি উদযাপন করেছেন। টি ব্রেকের সময় ৬০ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন বাবর আজম। আজহার আলী ছিলেন ৩৬ রানে ব্যাটিংয়ে। এটাই প্রথম দিনের শেষ চিত্র।