স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ইউরোপের অনেক দেশেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। অনেক দেশ ইতোমধ্যে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার লকডাউন ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশেও আগামী শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা স্বাস্থ্য খাতের রয়েছে। তবে মানুষ যদি সচেতন না হয়, স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাহলে আগামীতে আবারো ভয়ের কারণ হতে পারে। কাজেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে হলে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বিশেষত, সবার মুখে মাস্ক পরা এই সময়ে অত্যন্ত জরুরি।
একারণে দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা পর্যন্ত সবার মুখে মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সভায় অনলাইন জুমে ও অফলাইনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা করোনায় দেশের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতার বিষয়ে প্রশংসা করেন এবং আগের সক্ষমতা ধরে রেখে নতুনভাবে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন। শীতকালের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো যাতে দলবেঁধে হতে না পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
অনলাইন জুম-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড: আহমদ কায়কাউস, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা: ইকবাল আর্সেনাল, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আরও অনেকেই অংশ নেন ও তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।