যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক এবং সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।
কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মান, স্পেন, গ্রিস, ইরান, কাতার, ইউক্রেন, ও ভারতের নেতারা জো বাইডেনের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করার পর একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করেছেন, কানাডা ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক অনন্য – যা বিশ্বে ব্যতিক্রমী”।
দুই দেশের সরকার ‘শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায়, বাণিজ্যিক সমৃদ্ধি অর্জন, দেশের নিরাপত্তার উন্নয়ন এবং বিশ্ব জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ এক টুইট বার্তায় বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে আমাদেরকে একসঙ্গে অনেক কাজ করতে হবে। আসুন এক সঙ্গে কাজ করি।’
জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, তিনি জো বাইডেনের সঙ্গে ‘ভবিষ্যতে সহযোগিতার’ ভিত্তিতে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়কার যে বিশাল চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা মোকাবিলায় আমেরিকা ও ইউরোপ তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রেখে কাজ করবে’।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেস বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে গুড লাক অভিনন্দন জানান এবং তাদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস বলেছেন, ‘বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। কেননা বাইডেন তার দেশের প্রকৃত বন্ধু’।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই অবশ্য এতটা উষ্ণতা প্রকাশ করেননি। তিনি আমেরিকান গণতন্ত্রকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, আমেরিকান প্রশাসনে রাজনৈতিক, নাগরিক ও নৈতিক সব পর্যায়ে নিশ্চিত স্খলন খুবই স্পষ্ট।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগে ট্রাম্পকে তার বন্ধু হিসেবেই উল্লেখ করতেন। তবে তিনি টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘জো বাইডেন দর্শনীয় জয় পেয়েছেন। এজন্য তাকে অভিনন্দন।’
কমলা হ্যারিসের মা ভারতীয় ছিলেন। তার সম্পর্কে মোদি লিখেছেন, ‘আপনার সাফল্য পথপ্রদর্শক এবং সমস্ত ভারতীয়-আমেরিকানদের জন্য গর্বের বিষয়।’
কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি টুইটারে লিখেছেন, ‘দেশদুটির মধ্যে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী করতে বাইডেনের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষা করছি।’
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টোলেনবার্গ লিখেছেন, ‘জো বাইডেন আমাদের জোটের শক্তিশালী সমর্থক বলেই জানি। তার সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা আছি। শক্তিশালী ন্যাটো আমেরিকা ও ইউরোপ উভয়ের জন্যই মঙ্গলজনক’।