চট্টগ্রামে নার্স দিয়ে অস্ত্রোপচারে কলেজছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে একটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন সিভিল সার্জন। বুধবার (১১ নভেম্বর) অভিযান চালিয়ে চকবাজার এলাকার সিটি হেলথ ক্লিনিকটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। আটক করা হয়েছে ক্লিনিকটির মালিক ও অভিযুক্ত নার্সকে।
দু দশকেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বন্দরনগরীর এ ক্লিনিকটি। অথচ গত ১০ বছর ধরে নবায়নই করা হয়নি এটির লাইসেন্স। শুধু তাই নয়, বুধবার রাতে যখন সিভিল সার্জন অভিযান চালাচ্ছিলেন; সেসময় সেখানে কোনও চিকিৎসকের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। অথচ তখন ক্লিনিকটিতে ৪-৫ জন সদ্য প্রসূতি নারী ছিলেন। এছাড়া অভিযোগের কোনো কমতি ছিল না ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, এখানে যে সমস্ত নার্স ডিউটি করেছেন; তারা আসলে কেউই ডিপ্লোমাধারী না। রাতে কোন ডাক্তার ডিউটিতে থাকেন না। এছাড়াও তাদের ফ্রিজে অনেক মেয়াদত্তীর্ণ ওষুধ রয়েছে।
ক্লিনিকটিতে চিকিৎসা নিতে ভর্তি থাকা রোগীদের রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠিয়ে দিয়ে গেইটে তালা লাগিয়ে দেন সিভিল সার্জন।
ভুক্তভোগীরা জানান, সকালে আমাদের রোগীর অপারেশন হয়েছে। এখনও রোগী অবস্থা ভালো না। এখানে যে এই অবস্থা আমরা জানতাম না।
এই ক্লিনিকে চার মাস আগে চিকিৎসক ছাড়াই নার্স দিয়ে অস্ত্রোপ্রচারের মাধ্যমে গর্ভপাত করতে গিয়ে মারা যান এক কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ আটক করে ক্লিনিক মালিক হারুন এবং নার্স অলকাকে।
এদিকে নানা অভিযোগে রাতে আল আমিন হাসপাতাল নামে আরো একটি ক্লিনিক সিলগালা করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ।