কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিগ্রে-তে নিজ বাসায় মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
ফুটবলের এ কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন তার সতীর্থ ও চির প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক কিংবদন্তি পেলে।
ম্যারাডোনার মৃত্যুতে পেলে টুইট করেন, কী দুঃখের খবর। আমি একটি দুর্দান্ত বন্ধু এবং বিশ্ব একটি কিংবদন্তি হারালো। এখনও অনেক কিছু বলার আছে। তবে আপাতত, ঈশ্বর তার পরিবারের সদস্যদের শক্তি দিন। আমি আশা করি, একদিন আমরা একসাথে স্বর্গে ফুটবল খেলতে পারব।
সম্প্রতি নানা রোগে ভুগছিলেন ম্যারাডোনা। চলতি মাসেও মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেন তিনি। সেবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ২ সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন ম্যারাডোনা। শেষপর্যন্ত সার্জারি সাকসেসফুল হয়েছিল তার। তবে এবার আর ফিরতে পারেননি ফুটবল ঈশ্বরখ্যাত এ মহাতারকা। হাসপাতাল থেকে ফেরার মাত্র ২ সপ্তাহের মাথায়, এবার চিরকালের জন্য বিদায় নিলেন ম্যারাডোনা।
ক’দিন আগে ৬০ বছর বয়সে পা রাখেন তিনি। এর আগেও বেশ কয়েকবার মৃত্যুর মুখে পড়তে হয় তাকে। মাঠ এবং মাঠের বাইরে সমানভাবে আলোচনায় থাকা ম্যারাডোনা ২০০০ সালে একেবারে মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেবার দীর্ঘদিন পর হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান তিনি। ২০০৫ সালেও জটিল রোগে ভুগতে হয়। পরবর্তীতে ২ বছর পুনর্বাসনে কাটাতে হয় তাকে।
খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন এ আর্জেন্টাইন তারকা। তার ব্যক্তিগত আইনজীবী মাতিয়াস মোরলাহাস গণমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত মাদকাসক্তির জন্য শেষমুহূর্তেও মেডিসিন নিচ্ছিলেন তিনি।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবগুলো মাতিয়েছেন ম্যারাডোনা। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করে তুলেছিলেন তিনি। তবে সব ছাপিয়ে, ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে একক নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন এ কিংবদন্তি ফুটবলার।