টানা দ্বিতীয় জয়ে প্লে অফের রেসে ফিরল ঢাকা

হারের হ্যাটট্রিক দিয়ে আসর শুরু করা বেক্সিমকো ঢাকা, তুলে নিল টানা দ্বিতীয় জয়। মিরপুরে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে তারা হারিয়েছে ২৫ রানে। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান করে মুশফিকুর রহিমের দল। জবাবে, ১৫০ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। ফিফটি হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইয়াসির রাব্বি।

আসর শুরুর আগে আউট অব দ্য বক্স ক্রিকেট খেলার কথা বলেছিলেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের মাঠের খেলায় তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। তবে অন্য দলগুলো ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে নানা পরীক্ষা। সাকিব আল হাসানের ওপেনিংয়ের পর, এদিন বেক্সিমকো ঢাকাও দিল চমক, রাজশাহীর বিপক্ষে অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে দিয়ে ওপেনিং করিয়ে।

তবে কোচ খালেদ মাহমুদের এই কৌশল কাজে আসেনি। ১ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। নাঈম শেখের মন্থর গতির ১৯ বলে ৯ রান চাপ বাড়ায় অধিনায়ক মুশফিকের ওপর। ভালো শুরু করেও, ২৯ বলে ৩৭ রান করে আউট হন ঢাকার অধিনায়ক। ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ঢাকা তোলে ৬৪ রান।

স্কোর বোর্ডের এই দৈন্যদশা কাটাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়াসির রাব্বি আর আকবর আলী। ইয়াসিরের ব্যাটিং যেমন মুগ্ধতা ছড়িয়েছে তেমনি দলের স্কোর বোর্ডকে করেছে সমৃদ্ধ। যুব বিশ্বকাপজয়ী আকবর আলীও এদিন নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন। রাব্বি ১৭১ স্ট্রাইক রেটে ৬৭ রান করেন। আর টি-২০’তে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে, দলকে ১৭৫ রানের লড়াকু স্কোর এনে দেন আকবর আলী। শেষ ১০ ওভারে ১১১ রান তোলে বেক্সিমকো ঢাকা।

বঙ্গবন্ধু কাপে ১৫০ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড মাত্র একটি। তাই রাজশাহীর কাজটা যে সহজ হবে না তা বোঝাই যাচ্ছিলো। রুবেল-রবিউলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে, দলীয় ১১ রানে বিদায় নেন দুই ওপেনার শান্ত-ইমন।

আশীর্বাদ হয়ে আসা বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের সুযোগটা এদিনও কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। ফিরেছেন ৮ বলে ১ রান করে। তবে ফজলে মাহমুদের ব্যাটে স্বপ্ন সঞ্চার করে রাজশাহী। কিন্তু সঙ্গী হিসেবে পান নি কাউকেই। মুক্তার-শফিকুলরা বল হাতে সেই সুযোগই দেননি প্রতিপক্ষকে।

ফজলে মাহমুদ ক্যারিয়ার সেরা ৫৮ রান করলেও, বৃথাই গেছে তার প্রচেষ্টা। ৫ বল আগে ১৫০ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। টানা দুই জয়ে প্লে অফের রেসে ভালোভাবেই ফিরল ঢাকা।