সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর (শনিবার) বেক্সিমকো ঢাকা আর ফরচুন বরিশালের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত টিকে থাকবে সব আকর্ষণ, উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা। হয়তো ঐ ম্যাচেই চূড়ান্ত হবে টুর্নামেন্টের প্লে-অফ পর্বের চার দল। এদিকে বৃহস্পতিবার বেক্সিমকো ঢাকা ও জেমকন খুলনা এবং গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ দুটির গুরুত্বও কিছু কম নয়।
এদিকে আসর যত শেষের দিকে যাচ্ছে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের দ্যুতিও তত বাড়ছে। মঙ্গলবার মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচটি ছিল আসরসেরা, স্কোরলাইন ছিল সবচেয়ে বড়। এক ম্যাচে দুই দলের একজন করে (রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৫ বলে ১০৯ আর ফরচুন বরিশালের তরুণ টপঅর্ডার পারভেজ হোসেন ইমন ৪২ বলে ১০০*) সেঞ্চুরি করেছেন।
দলগতভাবে রাজশাহীর করা সর্বোচ্চ ২২০ রান তাড়া করে ফরচুন বরিশালের ৮ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয়ের রেকর্ডও হয়েছে। এছাড়া এক ম্যাচে সর্বাধিক ছক্কাও হয়েছে। আবার বল হাতে ফরচুন বরিশালের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি অনবদ্য হ্যাটট্রিকও উপহার দিয়েছেন।
ঐ এক ম্যাচে শতরান করে রান তোলায় পেছন থেকে সবার ওপরে চলে এসেছেন রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই তরুণ বাঁহাতি টপ অর্ডারের মোট সংগ্রহ এখন ২৯০। সাত ম্যাচে একটি শতক ও দুটি অর্ধশতকসহ এই রান সংগ্রহ করেছেন শান্ত। গড় ৪১.৪২ আর স্ট্রাইকরেটও বেশ ভাল; ১৫৯.৩৪।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেমকন খুলনার বাঁহাতি স্পিনার সাকিবের বলে ওয়াইড লং অনে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৪ রানে ফেরাটা কাল হয়েছে লিটনের। আর ঐ কম রানে আউট হওয়ার কারণেই টপ স্কোরারের আসনটি হাতছাড়া হয়েছে লিটন দাসের। না হয় আগের রাউন্ড পর্যন্ত রান তোলায় সবার ওপরে ছিলেন লিটনই।
শেষ ম্যাচে কম রানে আউট হলেও দুই ফিফটির সাহায্যে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের এ ওপেনার ৬ খেলায় ২৫১ রান করে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তিন নম্বরের নামটি তামিম ইকবাল। ছয় ম্যাচে ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের সংগ্রহ ২৪০ রান। তার ঠিক পেছনেই আছেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম, ছয় খেলায় মিস্টার ডিপেন্ডেবলের সংগ্রহ ২৪০ রান।
রাজশাহীর বিপক্ষে মাত্র ৪২ বলে ১০০ রানের ম্যাচ জেতানো অবিস্মরণীয় ইনিংস সাজানো তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন (৬ ম্যাচে ২০৪ রান) উঠে এসেছেন পাঁচ নম্বরে। আরেক সম্ভাবনাময় তরুণ আনিসুল ইসলাম ইমন ১৯৫ রান করে আছেন ছয় নম্বরে।
এছাড়া বেক্সিমকো ঢাকার ইয়াসির আলী রাব্বি (১৭৫ রান) সপ্তম, জেমকন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৭ ম্যাচে ১৫১) অষ্টম, একই দলের আরিফুল হক (৭ খেলায় ১৪৫ রান) নবম, রাজশাহীর বাঁহাতি মিডল অর্ডার ফজলে মাহমুদ দশ নম্বরে (৭ খেলায় ১৩৯) আর খুলনা জেমকনের বাঁহাতি ইমরুল কায়েস (৭ খেলায় ১৩৮) রয়েছেন ১১ নম্বরে।