সুনীল অর্থনীতির জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) সম্ভাব্যতার জন্য নীতিমালা হিসেবে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুনীল অর্থনীতিকে তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি (বিএসএমআরএমইউ) আয়োজিত ‘ব্লু ইকোনোমি ইন পোস্ট-কোভিড-১৯ ইরা : রিসাইলেন্স স্ট্রাটেজিক ফর দ্য কোস্টাল স্টেট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. আবদুল মোমেন বলেন, সুনীল অর্থনীতি সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। ইতোমধ্যে আমরা সভা, কর্মশালা এবং সেমিনারগুলো থেকে প্রচুর পরামর্শ, প্রস্তাবনা পেয়েছি। এখন সময় এসেছে এসব বাস্তবায়ন এবং পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করা।

ড. মোমেন বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাজারগুলোর অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং সামুদ্রিক খাতকে অগ্রাধিকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনই সময়।

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টার হাওয়াইয়ের প্রেসিডেন্ট ড. রিচার্ড আর ভ্যালিস্টেক এবং বিএসএমআরএমইউর উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি, নিরাপত্তা, প্রশাসন ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কিথ ক্র্যাচ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সম্প্রতি ইউএস-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের অগ্রগতির লক্ষ্যে একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো এগিয়ে নেওয়ার কাঠামোর রূপরেখা তৈরি করে তারা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি শিগগিরই এর অধীনে ভৌত সমুদ্র সহযোগিতা কাঠামোতে প্রবেশ করব।’