পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল ফরচুন বরিশাল। প্লে-অফে খেলতে হলে এই ম্যাচটায় জয়ের বিকল্প ছিল না। এই ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয় পেলে প্লে-অফে খেলা অনেকটা সহজ হয়ে যেত তামিম ইকবালের দলের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে রাজশাহীর দিকে।
শনিবার চট্টগ্রামের কাছে রাজশাহীর হার আর বরিশাল জিততে হবে ঢাকার বিপক্ষে। তবেই খেলতে পারবে প্লে-অফে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের দুই ওপেনারের উড়ন্ত সূচনা। সাইফ হাসান আর তামিম ইকবালের জুটি থেকে আসে ৮৭ রান। দুইজনের জুটি ভাঙে ১০ ওভার পাঁচ বলের মাথায় দলীয় ৮৭ রানে সাইফের বিদায়ে।
সাইফ হাসান খেলেন ৩৩ বলে ৪টি ছয় আর ২টি ছয়ে ৪৬ রানের ইনিংস। সাইফের পরই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৩৯ বলে ৪৩ বলের ইনিংস খেলেন বরিশালের অধিনায়ক।
গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমনকে ঘিরে বরিশাল সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে তবে সেটা পূরণ করতে পারেননি এই তরুণ ব্যাটসম্যান। ১০ বলে ১৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
তামিমদের শুরুটা যেমন, শেষটা তেমন হয়নি। মাঝে আফিফ হোসেন খেলেন ১৬ বলে ২৮ রানের ইনিংস। সবমিলে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে দলটি।
চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন সঞ্জিত শাহা, মোসাদ্দেক হোসেন ও জিয়াউর রহমান।
বরিশালের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সৈকত আলীর জুটিতে আসে ৭৯ রান। দুজনেই নতুন জীবন পেয়েছিলেন আফিফ হোসেনের ক্যাচ ছাড়ার মধ্য দিয়ে। সৈকত আলী ৩৩ বলে ৩৯ রান করে ফিরলেও সৌম্য পূর্ণ করেন অর্ধশতক।
তবে দলকে জয়ের খুব কাছে রেখেই সৌম্য ফেরেন সাজঘরে। ৩৭ বলে ৭ চার আর ৩ ছয়ে ৬২ রানের ইনিংস খেলে ক্যাচ দেন সুমন খানের বলে তামিম ইকবালের কাছে।
বাকি কাজটা ভালোভাবেই সামলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় পয়েন্টে এক নম্বরে থাকা চট্টগ্রাম।
বরিশালের হয়ে ২টি উইকেট নেন সুমন খান, ১টি উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ।