অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুই মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই তারিখ ধার্য করেন।
এদিন, অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাপ্রাপ্ত মো. সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে, ২০১৯ সালের ২২ জুলাই এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ বাবদ দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. সাহেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক।
মামলার আসামিরা হলেন রিজেন্টের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইব্রাহিম খলিল, এনআরবি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএমই ব্যাংকিং) ওয়াহিদ বিন আহমেদ ও করপোরেট হেড অফিসের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ সোহানুর রহমান।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এনআরবি ব্যাংক থেকে দুই ধাপে ২ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৭ টাকা ঋণ নিয়েছেন। যার মধ্যে ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ২২৭ টাকা সুদ ও অন্যান্য চার্জ ধার্য কেটে রাখা হয়। তবে সুদসহ ব্যাংকের এক কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ আত্মসাৎ করা হয়।
পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে ২৭ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা দায়ের করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।
আসামিরা হলেন পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক দ্য ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড)-এর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী, অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইব্রাহিম খলিল।
মামলায় ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক দ্য ফারমার্স ব্যাংক লি.), গুলশান করপোরেট শাখা থেকে এক কোটি টাকা (সুদ আসলসহ ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।