সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীর সাক্ষ্য

করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার মামলায় ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আকলিমা আক্তার নামে এক গৃহকর্মী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।  আগামী ২৬ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

জবানবন্দিতে আকলিমা আক্তার বলেন, ২০২০ সালের ১২ জুন বিকেলে সিরাজুল ইসলাম, তিনিসহ তিন জন করোনাভাইরাস টেস্ট করার জন্য নমুনা দেন। নমুনা দেওয়ার কিছুদিন পরে সিরাজুল ইসলামের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপর সিরাজুল ইসলামকে আরেকটা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে করোনাভাইরাসের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান। এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের প্রধান হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। সাক্ষ্য গ্রহণকালে ওই ৮ জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন একই আদালত।  এর আগে ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।