বিচারহীনতার সংস্কৃতি এদেশে বিএনপির হাত ধরেই চালু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপির হাত ধরেই চালু হয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার।
তার সরকারি বাসভবনে বুধবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

অনিয়ম দুর্নীতি ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারীকে অবমাননা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার মধ্য দিয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। আইনের বিধান কঠোরভাবে কার্যকর হলে অপরাধীরা ভয় পাবে এবং এ সব ঘৃণ্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপরাধীদের আশ্রয়- প্রশ্রয়দান বন্ধ করতে হবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের পথও চিরতরে বন্ধ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকার যে কোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতনের রেকর্ড করেছিল, তখনকার সময়ে পূর্ণিমা, রহিমা, মাহিমা, ফাহিমাসহ হাজারো নারী নির্যাতিনে শিকার হয়েছিল। বিএনপি তাদের বিচারতো করেনিই বরং সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রা ও ধরন সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। এছাড়া ২০০৪ সালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা চালায় বিএনপি। তখন তারা বিচারতো করেইনি উল্টো পদে পদে বাধাগ্রস্ত করেছিল।

কাদের আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও পৃষ্ঠপোষণে হত্যাকাণ্ড চালানো এবং বিচারের পথ বন্ধ করার জনক বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছে। এখন কোনো অপরাধী অপরাধ করে রেহাই পায় না। অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, দলীয় পরিচয় থাকলেও রেহাই দেয়নি সরকার।

একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশে-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়াচ্ছে জানিয়ে দেশবাসীকে এ মতলবি মহলের সব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে এ মতলবি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে, নষ্ট করছে দেশের ভাবমূর্তি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, করোনাকালেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, বাড়ছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ও।

দেশের অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের। 

বিশ্বনেতারা যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন, যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি মহল দেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে, তার নেতৃত্বের ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে এবং তা অব্যাহত থাকবে।