২০২১ সালে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অল্প ব্যবধানে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের (ডব্লিউইও) তথ্য অনুযায়ী, ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২০২০ সালে এক হাজার ৮৮৮ ডলার হয়ে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
অন্যদিকে, ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক হাজার ৮৭৭ ডলার হবে বলে মনে করা হচ্ছে, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
উভয় দেশের জিডিপির পরিসংখ্যান বর্তমানে সমান। রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান ও নেপালের মাথাপিছু জিডিপির তুলনায় এগিয়ে থাকবে ভারত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
ডব্লিউইও প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার পরে দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা মহামারিতে ভারতীয় অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশটির মাথাপিছু জিডিপি বর্তমান পঞ্জিকা বছরে ৪ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে নেপাল ও ভুটান এ বছর তাদের অর্থনীতি বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইএমএফ আগামী বছরে ভারতে ব্যাপক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাস দিয়েছে।
ডলারের বিপরীতে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ২০২১ সালে ৮ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, এটি বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ৫ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বিপরীতে। পরের বছর ভারতের মাথাপিছু জিডিপি দুই হাজার ৩০ ডলারে উন্নীত হবে, যেখানে বাংলাদেশের এক হাজার ৯৯০ ডলার হওয়ার সম্ভাবনা।
পাঁচ বছর আগেও ভারতের মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি ছিল। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ১ শতাংশ, আর এই সময়ে ভারতে হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশে দ্রুত বর্ধনশীল রপ্তানি খাত এবং সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার অবিচ্ছিন্নভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি স্থবির হয়েছে এবং সঞ্চয় ও বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে।