এক রাতে তিনবার পৃথক ধর্ষকদের হাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী

ধর্ষণ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখায় জেগে উঠেছে গ্রামবাংলার অবলা নারীরা। দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আশায় মুখ খুলতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে নারীদের প্রতিবাদ। গেলো আট দিন আগে পালাক্রমে গণধর্ষণের শিকার আড়াইহাজার উপজেলার এক বিধবা নারী থানায় মামলা ঠুকেছেন। ঘটনা চেপে না রেখে বিচারের আশায় সাহস করে ওই বিধবা নারীর মামলার বিষয়টি পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশও তৎপর হয়ে উঠেছে। এক রাতে পর্যায়ক্রমে ছয়জন ওই বিধবা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আলী আকবরকে (৫০) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নৈকাহন আখরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আলী আকবর ওই এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার বিধবা নারী বাদী হয়ে আলী আকবরকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কায়েমপুর এলাকার দুই সন্তানের জননী বিধবা নারী একই উপজেলার বিনাইরচরস্থ ভাই ভাই স্পিনিং মিলের শ্রমিক। গেলো সাত অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দোকানে ওষুধ আনতে যায়। নৈকাহন বাজারের আনিসের মার্কেটের সামনে পৌঁছালে আলী আকবর নামে এক যুবক ওই নারীকে ডাক দিয়ে বাজারের পেছনে মাছের দোকানে নিয়ে যায়। পরে দোকানের সার্টার বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। নারী দোকান হতে বের হওয়ার পর বাইরে থাকা একই এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মোস্তফা (৫৫), একই এলাকার আনারুল (৪০) লিটন (৩২) নারীকে জিজ্ঞেস করে আলী আকবরের সঙ্গে কি করছস। তারপর আপস করে দেয়ার কথা বলে লিটনের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে  আটটায় তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে লিটন ফোন করে শাহীন (৩২) ও তরিকুল (৩৪) ডেকে এনে নারীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেতে চায়। এতে রাজি না হওয়ায় শাহীন ও তরিকুল নারীকে জোর করে রাত সাড়ে ১০ টায় একই এলাকার আলী হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও বিধবা নারী লোকলজ্জায় ও ছেলে মেয়ের কথা চিন্তা করে ঘটনা গোপন করে রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে বুধবার রাতে আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিধবা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।অন্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।