সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের শিকার রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে শরীরে অতিরিক্ত আঘাতের কারণে এবং তার শরীরে প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত শেষে এমন তথ্য জানিয়েছে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড কমিটির সভাপতি সিলেট এম এজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা: শামসুল ইসলাম।
এদিকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত শেষে আবারও তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর একটি দল আখালিয়াস্থ এলাকার নবাবী মসজিদের পঞ্চায়েতি গোরস্থান থেকে রায়হানের মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু করেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলনের পর পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পুলিশের পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল হাসান। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রায়হান নামের এক যুবকের মরদেহ তোলা হয়েছে। মরদেহ তোলার পর সুরতহাল করা হয়। এরপর ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ড গঠনের পর রায়হানের মরদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়।