দেশের প্রবীণ ও স্বনামধন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রবীণ এই আইনজ্ঞের মৃত্যুতে হাসপাতালে ছুটে যান তিনি।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দুপুরে এক শোকবার্তায় বিএনপির মহাসচিব বলেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও দেশের খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আইন পেশায় যে অবদান রেখেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আইন অঙ্গনের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। আইন পেশায় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল তাঁর। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন সব সময় সোচ্চার। অন্যায়, অবিচার ও অসংগতির বিরুদ্ধে তিনি নির্ভীক ও উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ জানাতে কখনো কুণ্ঠিত হননি। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যেও তিনি দেশের দুজন শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষাবলম্বন করে আইনি লড়াই চালিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে তাঁর সাহসী ভূমিকা ছিল নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আইন পেশাকে মানবসেবার অনুষঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ছাত্রাবস্থায় এই তুখোড় ছাত্রনেতা পরবর্তী সময়ে আইন পেশায় যুক্ত হওয়ার পর রাজনীতির সংশ্রব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। আইন পেশাকে জনসেবার মহান লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আইন পেশার পাশাপাশি নানাবিধ সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত থেকে তিনি মানবসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ব্যক্তিজীবনে একজন সৎ, সজ্জন, আদর্শনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসিত ছিলেন। দেশের বর্তমান দুঃসময়ে তাঁর মতো একজন প্রাজ্ঞ, নীতিবান ও সাহসী আইনজ্ঞের ইহধাম ত্যাগ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতি। নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি, গণতন্ত্র ও নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের বিরুদ্ধে তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সাহসিতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন।