মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) খুলনার উপ-পরিচালক নিভা রাণী পাঠকের স্বামী বেসরকারি কলেজের শিক্ষক (অব:) অরুণ রায় (৭২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় নিহতের স্ত্রী নিভা রাণী পাঠক বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় বাড়ির পুরনো ও বর্তমান কেয়ারটেকার ব্যনাহাটি গ্রামের বিপুল বিশ্বাস, বিধান রায় ও অরবিন্দু দাস ও ১ জন ভ্যানচালক অমরেশ রায় এবং নিহতের এক আত্মীয় রজত পাঠককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
মামলার বাদি নিভা রাণী পাঠক জানিয়েছেন, কারো নাম উল্লেখ না করেই মামলা হয়েছে। শুনেছি জমিজমা নিয়ে শরিকদের সাথে ঝামেলা ছিল। কাদের সাথে ছিল বা কোনো মামলা ছিল কিনা তাও বলতে পারবো না।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী একজন নিরীহ লোক, এলাকায় তার কোন শত্রু থাকতে পারে না। যারাই হত্যা করুক তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
জানা যায়, মাউশির উপ-পরিচালক নিভা রাণী পাঠক, তার দুসন্তান প্রকৌশলী ইন্দ্রোজিৎ রায় এবং এক মেয়ে চিকিৎসক ইন্দিরা রায় চাকরির সুবাদে জেলার বাইরে অবস্থান করেন। গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি গ্রামে নিভা রাণীর স্বামী অরুণ রায় একা থাকতেন।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সারাদিন অরুণ রায়ের সাথে পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে গিয়ে বন্ধ পান। পরে সন্ধ্যার পর নীভা রাণী ও ছেলে ইন্দ্রোজিৎ খুলনা থেকে বাড়িতে এসে ক্লপসিপল গেট বন্ধ পেয়ে মই বেয়ে দ্বিতল ভবনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে অরুণ রায়কে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পান।