পাকিস্তানের একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (মাদ্রাসায়) শক্তিশালী বোমা হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। পেশোয়ারের এ হামলায় আহত হন কমপক্ষে একশ জন। হতাহতের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী বলে খবর প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দির কলোনীর স্পেন জামায়াত মসজিদ, যা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখানেই এ বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণে ভবনটির প্রার্থনার সামনের অংশ পুরোপুরি ধসে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে শুধু ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতচিহ্ন। কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওয়াকার আজীম বলেন, মাদ্রাসায় কোরআনের ক্লাস চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে কেউ একটি ব্যাগ রেখে গেছেন বলে বার্তা সংস্থা এফপিকে বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে, সেখানে উন্নত বিস্ফোরক যন্ত্র- আইইডি ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণে পাঁচ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়।
নৃশংশ এই হামলায় এখনো কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। ইতিমধ্যে ওই এলাকার আশপাশ ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তা সদস্যরা। বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চুলচেরা অভিযানে চালানো হচ্ছে।
এদিকে, হামলায় থমকে গেছে পেশোয়ারের স্বাভাবিক জনজীবন। হতাতদের খোঁজ নিতে হাসপাতাল পরিদর্শন গেছেন খাইবারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাইমুর সালিম।
তীব্র নিন্দা জানিয়ে তথ্য মন্ত্রী শিবলী ফারাজ বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের সঙ্গে মানবতার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাদের যে কোন মূল্যে পরাস্ত করবো।
হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং দেশটির বিরোধীদলের নেতা-কর্মীরা।