জনস্বার্থে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে : স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড: শিরীন শারমিন চৌধুরী জনস্বার্থে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য জনমত তৈরিতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজত জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য আনোয়ার হোসেন।

স্পিকার ড: শিরীন শারমিন চৌধুরী ডিআরইউর ২৫ বছর পূর্তিতে রজত জয়ন্তী উদযাপনের এ স্মরণীয় মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সদস্যসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

এ সময় ড: শিরীন শারমিন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত রিপোর্টারদের অধিকার, পেশাগত উন্নতি আর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সঙ্গে পথ অতিক্রম করে চলেছে- যা প্রশংসার দাবিদার বলে উল্লেখ করেন।

স্পিকার আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন তথ্যপ্রবাহের সুবর্ণ সময় অতিবাহিত করছে। আইসিটির সহজলভ্যতার ফলে তথ্য প্রবাহের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। এ সময় তিনি নারীরা সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে- যা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ও নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন।

ড: শিরীন শারমিন বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমকে বিবেচনা করা হয়। শক্তিশালী গণমাধ্যম রাষ্ট্রযন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার চালিকাশক্তি। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণকে উজ্জীবিত করতে গণমাধ্যমগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানান।

সবশেষে ড: শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৫ জন সাংবাদিককে ১৪টি বিষয়ে বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।

ডিআরইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।