নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্য থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বি. খান। এই নিয়ে টানা চারবার নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই রিপাবলিকান নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি বিভিন্ন পদ নির্বাচনেও একই দিন ভোট গ্রহণ করা হয়। এবারের নির্বাচনে আবুল বি খান ছাড়াও আলোচনায় রয়েছে আরও তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রার্থী। তাদের মধ্যে টেক্সাসের অস্টিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী ডোনা ইমাম, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেটর শেখ রহমান ও পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের অডিটর জেনারেল পদপ্রার্থী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা ড. নীনা আহমেদ।
বিজয়ী হওয়ার সম্ভাব্যদের মধ্যে নির্বাচনের শুরু থেকেই আবুল বি. খানের নাম আলোচনায় ছিল। পাশাপাশি পেনসিলভানিয়ার অডিটর জেনারেল পদে ড. নীনা আহমেদের জয়ের সম্ভাবনা বেশ প্রবল।
নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট রকিংহাম বরাবরই রিপাবলিকানদের দখলে। বাংলাদেশি-আমেরিকান আবুল বি খান এর আগে, টানা তিনবার স্টেট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচিত হন। আটলান্টিক মহাসাগরের তীরের নিউ হ্যাম্পশায়ারে সিব্রুক সিটির সিলেক্টম্যান হিসেবেও তিনি ১২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। আবুল বি খানের জন্ম বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলায় ভান্ডারিয়ায়। ১৯৮১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন।
বাকি বাংলাদেশিদের মধ্যে ড: নীনা জয়ী হলে তিনিই হবেন পেনসিলভানিয়ায় প্রতিনিধিত্বকারী সর্বোচ্চ পদে থাকা কোনো বাংলাদেশি-আমেরিকান। ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকে এই কভিড-১৯-এর মধ্যেও দিনরাত তার জন্য কাজ করছেন।
এদিকে টেক্সাসে হঠাৎ করেই আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান ডোনা ইমাম। তিনি ইউএস জাতীয় কংগ্রেসে সেখানকার ডিস্ট্রিক্ট ৩১ থেকে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রার্থী হয়েছেন। রিপাবলিকান এই স্টেটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হয়েও ডোনা বেশ সাড়া জাগিয়েছেন। বিজয়ী হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি করেছেন তিনি।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেটর পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ রহমান। এবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে তিনি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। গত ৯ জুন হওয়া দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। একই সঙ্গে সিনেট ডিস্ট্রিক্ট আসন-৫-এ রিপাবলিকানও কোনো প্রার্থী দেয়নি। ফলে শেখ রহমানের বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার বলেই ধরে নেওয়া যায়।