এএসপির মৃত্যু: মাইন্ড এইড হাসপাতাল সিলগালা

এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতাল সিলগালা করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ঘটনায় হাসপাতালটির পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাদের মধ্যে হাসপাতালের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

এর আগে, এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রাজধানীর তেজগাঁয়ের কার্যালয়ে একং ব্রিফিংয়ে এ-কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, সিসিটিভির ফুটেজে এএসপি আনিসুলের ওপর যে আক্রমণের ছবি দেখা গেছে, তাতে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণ হয়। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, এ ঘটনায় আনিসুলের বাবা ফাইজ্জুদ্দিন আহমেদ মোট ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

সোমবার মানসিক সমস্যার কারণে পরিবারের সদস্যরা এএসপি আনিসুল করিমকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আনিসুল করিম হাসপাতালে ঢোকার পরই ছয়-সাতজন তাকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন।

এ সময় মাথার দিকে থাকা দুজন হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।