আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সোমবারও নাগোরনো-কারাবাকস পার্বত্য এলাকার আশেপাশে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। দ্বিতীয় দিনের এই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিবেশী এই দুই দেশের সেনারা এদিন রকেট ও আর্টিলারি দিয়ে একে অপরের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। ওই অঞ্চল নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছিল।
দেশ দুটি যদি যুদ্ধে জড়িয়ে যায় এক্ষেত্রে আঞ্চলিক শক্তি রাশিয়া ও তুরস্কও তাতে যোগ দিতে পারে। আর্মেনিয়ার সঙ্গে মস্কোর প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে, আর তুরস্ক তাদের উপজাতি তুর্কি জ্ঞাতি আজারবাইজানকে সমর্থন করছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্রাইসিস গ্রুপের সাউথ ককেশাস রিজিওনের সিনিয়র বিশ্লেষক ওলেসা ভারটানায়ান বলেছেন, ১৯৯০-র দশকে যুদ্ধবিরতির পর এ ধরনের চিত্র আমরা আর দেখিনি। ফ্রন্টলাইনে সব সেকশনেই লড়াই চলছে।
তিনি বলছেন, রকেট ও আর্টিলারির ব্যাপক মোতায়েনের কারণে বেসামরিক ব্যক্তিদের নিহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এর ফলে এই উত্তেজনা কূটনৈতিকভাবে বন্ধ করা কঠিন হতে পারে।
ভারটানায়ান বলেন, যদি হতাহতের সংখ্যা বেশি হয় তাহলে এই লড়াই থামানো কঠিন হবে এবং সেক্ষেত্রে আমরা একটি পুরোপুরি যুদ্ধ দেখবে। আর এমন পরিস্থিতিতে তুরস্ক বা রাশিয়া বা উভয় দেশেরই হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, নাগোরনো-কারাবাকস পার্বত্য এলাকা নিয়ে ১৯৮০-র দশকে প্রথমবার সংঘাতে জড়ায় খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ আর্মেনিয়া ও মুসলিম অধ্যুষ্ঠিত আজারবাইজান। নাগোরনো-কারাবাকস পার্বত্য এলাকা আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা এবং এটির শাসন ক্ষমতা উপজাতি আর্মেনিয়ানদের হাতে রয়েছে।