সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের কানাইঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) স্বপন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা বলেন, ‘জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার সংলগ্ন পাকিবিল গ্রাম থেকে মাহফুজুরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
মাহফুজুর এ মামলার এজাহারের ছয় নম্বর আসামি। তার বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী এলাকায়।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা এক নববধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মামলার তিন আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগরের শাহপরান (র.) থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্রাচার্য্য। শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইদুর রহমান।
এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকেও গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।