এবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকতে পারবেন না ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। তবে থানা ও ওয়ার্ডের কমিটিতে জায়গা পেলেও শীর্ষ দুই পদে নয়। জনপ্রতিনিধিরা যাতে জনগণের সেবায় বেশি সময় দিতে পারেন, সে জন্যই এ সিদ্ধান্ত।
করোনা মহামারিতে সব কিছুর মতো থমকে ছিলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। তবে নতুন স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে বাংলাদেশ। তাই সাংগঠনিক রাজনীতিতে নজর দিয়েছে আওয়ামী লীগ। উপকমিটির পাশাপাশি জেলা ও মহানগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করারও নির্দেশনা এসেছে।
ঢাকা মহাগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, নগর কমিটিতে আমরা কোনও জনপ্রতিনিধিকে দেইনি। যদি নেত্রী মনে করেন যে, তাদেরকে নেওয়া দরকার তাহলে নেত্রী দিবেন। একজন যদি দুই তিনটা পদে থাকি তাহলে অনেকে বঞ্চিত হয়। কে থাকবেন কমিটিতে কে থাকবেন না এটা আমি জানি না। আমরা জানি তারা সাবেক ছিলেন, আমরা শুধু নামের পাশে লিখে দিয়েছি কারা অ্যাকটিভ ছিলেন, কারা অ্যাকটিভ ছিলেন না।
২০১৫ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত ছিল, ঢাকা মহানগর বা মহানগরের থানা ও ওয়ার্ডে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পাবেন না। একইভাবে মেয়র ও কাউন্সিলররাও থানা ও ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাবেন না। যার যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালনের নির্দেশনা কেন্দ্রের।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচিত কাউন্সিলাররা যদি দলের সেইভাবে নিবেদিত, ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাকর্মী হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই তারা ওই জায়গায় স্থান পাওয়ার কথা। যারা বিতর্কিত, যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে বলে অভিযোগ আছে এই সমস্ত লোকজনদের কোন পর্যায়েই সাংগঠনিক অন্তর্ভুক্তি না রাখার সিদ্ধান্ত আছে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অংশের সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্র।