পলিথিন বন্ধে আজ থেকে অভিযান

নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রম কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আজ থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

শনিবার (২ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ ছিল। তবে রোববার থেকে মনিটরিং কার্যক্রম চলবে।

তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, রাজধানীজুড়ে আমাদের অভিযান পুরোদমে চলবে। ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে। আমরা রাজধানীর প্রতিটি দোকানে গিয়ে তদারকি করব। কেউ যাতে পলিথিন ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত এই সচিব আরও বলেন, সবাই শুধু বলছেন বিকল্প কিছু আনার ব্যাপারে। অথচ তারা জানেন না যে, বাজারে ইতোমধ্যে বিকল্প অনেক কিছুই রয়েছে। তা ছাড়া সরকারও এ বিষয় নিয়ে খুবই তৎপর। বিকল্প উৎপাদনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। যাতে বাজারে সবাই হাতের নাগালে পেতে পারে।

তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, কেউ যেন পলিথিন ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করা হবে। সবাই পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানি। দশ বছর আগেও মানুষ পলিথিন ছাড়া বাজার করেছে। তাই ইচ্ছে করলে এখনও সম্ভব। তবে একটু সময় লাগবে সম্পূর্ণভাবে পলিথিন বাজার থেকে বাদ দিতে।

তিনি বলেন, ক্রেতারা পলিথিনের পরিবর্তে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবসায়ীদের কাছে নির্দেশনা দেওয়ার পরও পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হব

এ বিষয়ে দেশব্যপিী সচেতনতার লক্ষে্য বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি’র পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই ব্যনার ও ফেস্টুন তৈরি করে মার্কেটগুলোতে সরবরাহ করছে।

প্রসঙ্গত, সুপারশপের পর কাঁচাবাজারেও পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। একই সঙ্গে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।