ঢাকায় ফিরছেন ব্লাক ডায়মন্ডখ্যাত সংগীতশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। দীর্ঘ বছর আমেরিকার নিউ ইয়র্কে ছিলেন। আগামী রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।
বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনামলে বারবার বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয় বেবী নাজনীনের সংগীত জীবন। বাংলাদেশ বেতার, টিভি ও মঞ্চ, কোনও মাধ্যমেই গায়িকা স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বেবী নাজনীন সবসময়ই সমাদৃত। ফলে বিদেশের মাটিতে তার কাজকর্মে কোনও বাধা আসেনি, বরং এই সময়ে আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ব্লাক ডায়মন্ড বেবী নাজনীন।
সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আশা ভোঁশলে, বাপ্পি লাহিরী, কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূর্তির সঙ্গেও একাধিক অডিও অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণীর তালিকাভূক্ত শিল্পী বেবী নাজনীন চলচ্চিত্র, অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
বেবী নাজনীনের উল্লেখযোগ্য গানের তালিকায় রয়েছে ‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘আমার একটা মানুষ আছে’, ‘ওই রংধনু থেকে’, ‘পত্রমিতা’, ‘এলোমলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত’, ‘দুচোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পরে’, ‘আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেল রে মরার কোকিলে’, ‘লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে’, ‘আজ পাশা খেলবে রে শাম’, ‘প্রিয়তমা’, ‘সারা বাংলায় খুঁজি তোমারে’, ‘ও বন্ধু তুমি কই কই রে.. এ প্রাণো বুঝি যায় রে’… ইত্যাদি।