করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত কয়েক মাসে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার পিপিই গাউন, মাস্কসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করেছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। তবে তারা বলছেন, সর্বোচ্চ মানের সুরক্ষা পণ্য রপ্তানিতে ল্যাব টেস্টের জন্য প্রয়োজন সরকারি সহায়তা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের পণ্যের বিশ্ববাজার ধরতে কারিগরি প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কুটনীতি জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ।
করোনা মহামারিতে দেশের প্রধান শিল্পখাত পোশাকের বিদেশী ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতের জেরে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় নেমে আসে মাত্র ৫২ কোটি ডলারে। যা আগের বছর একইসময় ছিলো ৩০৩ কোটি ডলার। রপ্তানি বাণিজ্যের এমন স্থবিরতায় বেশ কিছু পোশাক কারখানা প্রটেকটিভ গাউন, মাস্কের মত সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে আসে। বর্তমানে বড় অংকের বিনিয়োগে বিশ্বমানের পিপিই ইউনিট গড়ে তুলছে বিভিন্ন শিল্পগ্রুপ।
বেক্সিমকো প্রধান নির্বাহী সৈয়দ নাভিদ হোসেন বলেন, আগামী বছর ৫০ কোটি ডলারের পিপিই রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা আমাদের। বেক্সিমকো ফার্মার সাথে যৌথভাবে গড়ে তোলা পিপিই ইউনিটে মাসে ৫ কোটি পিস গাউন, মাস্ক, সু কভার ও সুরক্ষা চশমা উৎপাদন সক্ষমতা আছে। এখানে আছে অত্যাধুনিক স্টেরিলাইজেশন ব্যবস্থা । কাঁচামালের জন্যও কোন নির্দিষ্ট দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না।’
গত অর্থবছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৬৩ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি আয় এসেছে সুরক্ষা সামগ্রী থেকে। এ খাতকে আরো এগিয়ে নিতে উদ্যোক্তারা চান সরকারি সহায়তা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন মান নিয়ন্ত্রণে জরুরী সরকারি তদারকি।
অর্থনীতিবিদ ড: জাহিদ হোসেন বলেন, বাজার ধরার জন্য সরকারের কারিগরি সহায়তা, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং অর্থনৈতিক কুটনৈতিক ধরার জন্য সহায়তা পড়বে।
গ্র্যান্ড ভিউ রিসার্চ নামের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, গত বছর ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর বিশ্ব বাজারের আকার ছিল ৫ হাজার ৯শ কোটি ডলার।