মিরপুরে নারীকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যা: সৎ ছেলেসহ গ্রেফতার ৬

রাজধানীর কাফরুলে এক নারীকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সৎ ছেলে ও তার স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন। রোববার রাতে ঢাকার উত্তরা ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার অসম মাহতাব উদ্দিন জানান।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- নিহত সীমা বেগমের সৎ ছেলে আশিকুর রহমান নাহিদ, তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা আইরিন, আইরিনের বাবা আশেক উল্লাহ, ভাই শাকিব, মামা নাসির উদ্দিন ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।

রোববার দুপুরে কাফরুলের বাইশটেকি ইমামনগর এলাকার একটি ভবনের সপ্তম তলার ফ্ল্যাট থেকে সীমার (৩৩) দগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে পোড়া ক্ষত ছাড়াও জখমের চিহ্ন ছিল।

কাফরুল থানার এসআই আবু বকর জানান, ৮ মাস আগে সীমা ও শাজাহানের বিয়ে হয়। কাফরুলের ওই ফ্ল্যাটে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন সীমা। খবর পেয়ে রোববার বিকালে সীমার অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।

তার শরীরের পেছনের দিকটা পোড়ানো, পিঠে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পারিবারিক বিরোধেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, শাজাহান শিকদার একটি কার্টন ফ্যাক্টরির কর্ণধার।  ইমাননগর সমিতি এলাকায় একটি ১০তলা ভবনের সাততলায় দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা বেগমকে নিয়ে থাকতেন। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের পাশের ফ্ল্যাটেই শাজাহান শিকদারের ছেলে নাহিদ থাকতেন সস্ত্রীক। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানাচ্ছে, দুই পরিবারের ঝগড়াঝাটি হয়েছিল। তাদের আশঙ্কা, সে কারণেই সীমাকে খুন করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, সীমা আক্তারের লাশ বিছানায় উপুড় অবস্থায় পড়েছিল। তার পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের পেছনে দিকে পোড়া ছিল। মৃতদেহের পাশেই একটি লুঙ্গি ছিল। কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার আগে তাকে গলায় লুঙ্গি বেঁধে শ্বাসরোধ করা হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা তাদের।