আজ জিতলেই ফাইনালে তামিম একাদশ

দীর্ঘ সাত মাস পর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ফিরেছিল টাইগার ক্রিকেটারদের জন্য। তবে দেখতে দেখতে তিন দলের সেই ওয়ানডে টুর্নামেন্টও শেষের পথে। ফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তামিম একাদশ ও নাজমুল একাদশ।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অনেকটাই নির্ভার নাজমুল একাদশ। তবে ২৩ অক্টোবরের ফাইনালে খেলতে হলে অবশ্যই জিততে হবে তামিম একাদশকে। সেটা যেকোনো ব্যবধানে হলেই হবে। আর যদি নাজমুল একাদশের কাছে পরাস্ত হয় তামিম বাহিনী তবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে ওয়ানডে অধিনায়কের দল।

তিন দলের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে নাজমুল একাদশ। তিন ম্যাচে ২ জয়কে সঙ্গী করে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ তরুণ অধিনায়ক নাজমুল শান্তর দল। সমান ৪ পয়েন্ট আছে মাহমুদউল্লাহ একাদশের নামের পাশেও। তবে চার ম্যাচে সমান দুটি করে জয়-পরাজয় দেখা মাহমুদউল্লাহর দল পিছিয়ে আছে রান রেটে।

জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর দলের নেট রান রেট -.৪৪২, অপরদিকে শান্তর দলের নেট রান রেট .৮৬৭। ফলে এই ম্যাচ হারলেও উপরে থাকার সম্ভাবনাই বেশি নাজমুল একাদশের। ফলে নাজমুল একাদশের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তামিমের দলের মূল প্রতিদ্বন্দী বলা চলে মাহমুদউল্লাহ একাদশের। কারণ দুই দলের নেট রান রেটের পার্থক্য কেবল .১৩১ এর। যদিও তামিমের দল এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে মাত্র ১ জয় পাওয়ায় পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ২। তবে নেট রান রেটে মাহমুদউল্লাহ একাদশের চেয়ে এগিয়ে থাকায় জিতলেই হবে দলটির।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসের রসদ অবশ্য তামিম একাদশেরই বেশি থাকবে। কারণ টুর্নামেন্টে তাদের একমাত্র জয় নাজমুল একাদশের বিপক্ষেই। দুই দলের মধ্যকার আগের সাক্ষাতে তামিম একাদশ ৪২ রানে জয়লাভ করেছে। সেই ম্যাচে মেহাদী হাসানের ঝড়ো ৮২ রানের কাছে বিফলে গেছে মুশফিকের শতক।

যদিও তামিম একাদশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে আছে তাদের ব্যাটিং সাইড। ব্যাট হাতে এখনো চরমভাবে ব্যর্থ অধিনায়ক তামিম নিজেই। এর সঙ্গে টপ অর্ডাররাও ভুগছে রানহীনতায়। যদিও শেষ ম্যাচে আশার আলো হয়ে এসেছে ইয়াসির আলী এবং মাহিদুল অঙ্কনের ব্যাটিং। এই দুই তরুণ ব্যাটসম্যানই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। তবে তামিমের দলের বোলিং সাইড এখন পর্যন্ত মোটামুটি সফল বলা চলে। সাইফউদ্দীন কিংবা মুস্তাফিজ বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন। যদিও বাকি বোলাররা এখনো নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি।

এদিকে তামিম একাদশের কাছে হারলেও নাজমুল একাদশের বাকি দুই জয় এসেছে দলের তরুণ ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে ভর করে। এই দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্তও ব্যাট হাতে ব্যর্থ। তবে দলটির হয়ে নিয়মিত রান করেছেন মুশফিকুর রহিম, ইরফান শুক্কুর। তাদের সঙ্গে আফিফ এবং তৌহিদ হৃদয়দের ফর্মও হুমকি হতে পারে তামিম একাদশের জন্য। এছাড়া দলটির পেসার তাসকিন, আল আমিন, আবু জায়েদের পাশাপাশি স্পিনার নাসুম এবং রিশাদের বোলিং ভেলকিও চোখ রাঙাতে পারে তামিম একাদশকে।

তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তামিম একাদশ নিশ্চয়ই জিততে চাইবে যেকোন মূল্যে। নাজমুল একাদশও বড় ভাই তামিম ভাইয়ের দলের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় পেতে মুখিয়ে থাকবে।