নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-নব্য জেএমবির মিডিয়া ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধানসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে তাদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, দেশি বন্দুক, ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আশুলিয়ায় জঙ্গি হামলায় যুক্ত জেএমবি সদস্য তানভীর আহম্মেদ ও জাকারিয়া জামিলকে পুলিশ খুঁজছিলো দীর্ঘদিন ধরে। তারা দুজন নতুন কোনও হামলার পরিকল্পনা নিয়ে একত্রিত হচ্ছে এমন খবরে শনিবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালায় শিবগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিহারা এলাকায়। সেখান থেকে তানভীর ও জামিল ছাড়াও আরও দুজনকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, কার্তুজসহ দেশি ওয়ান শুটার গান, চারটি ধারালো অস্ত্র এবং তার-ব্যাটারি-টেপসহ বিস্ফোরক তৈরির এক কেজি সরঞ্জাম।
আজ শনিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন জানান, পুলিশের অব্যাহত অভিযানের ফলে নব্য জেএমবি দেশে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। নতুন করে কোথাও তারা হামলা করার সুযোগ পাচ্ছে না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সদস্যরা জানিয়েছে, এই অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্বকে জানান দেয়ার জন্য কোথাও হামলার পরিকল্পনা করার উদ্দেশে তারা বগুড়ায় সমবেত হয়েছিলো। তবে বৈঠক শুরুর আগেই গোয়েন্দা পুলিশ তাদের আটক করে ফেলে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা বিস্ফোরক সরঞ্জাম দিয়ে অর্ধশত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বোমা বানানো সম্ভব বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ব্রিফিংয়ে ডিআইজি আরও জানান, আটক চারজনের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ নব্য জেএমবির তথ্য প্রযুক্তি শাখার প্রধান এবং জাকারিয়া জামিল সংগঠনের মিডিয়া শাখার প্রধান। বাকি দুজনের একজন আবু সাঈদ সংগঠনের পক্ষ থেকে যুদ্ধ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। আর অপরজন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান জেএমবির অর্থ সংগ্রহের কাজ করে থাকে।
শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়েরর পর দুপুরে আটক চার জেএমবি সদস্যকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক।