চীন বিপ্লবের প্রধান শক্তি ছিল চীনের কৃষক: গোলাম মোস্তফা

চীনের বিপ্লবকে ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ বিপ্লব হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, মাও সেতুং ১৯৪৯ সালে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর কৃপাধন্য শাসকদের পরাজিত করে চীনে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব আনেন। মাও সে তুংয়ের বিপ্লবের প্রধান শক্তি ছিল চীনের কৃষক। তিনি পুরো দেশ এবং দেশের মানুষকে মুক্ত করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে চীন বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিক স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত চীন বিপ্লবের মহানায়ক মাও সেতুংয়ের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চীন আজ বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম এক শক্তি। নানা সংস্কারের মধ্য দিয়ে চীন আজ বিশ্বশক্তি। আজও চীনের ঐক্য টিকে আছে। চীন বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকে বলতে হয়, বিপ্লবের পর আধুনিক চীনের ইতিহাস তিন পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে মাও সেতুংয়ের সময়কাল, দ্বিতীয় পর্বে দেং জিয়াও পিং ও অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ এবং তৃতীয় পর্বে শি জিন পিংয়ের উত্থান ও চীনকে বিশ্বশক্তিতে পরিণত করা।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও সেতুংয়ের আমন্ত্রণে চীন সফর করেন। ভাসানী চীনা বিপ্লবের সাফল্যে চমৎকৃত হয়েছিলেন। তিনি দেশে-বিদেশে সফরকালে বারবার বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাদের দেশে জনকল্যাণে যা কিছু করছে, তার সঙ্গে ইসলামের সাম্য-মৈত্রীর বাণীর মিল রয়েছে। তিনি চীনের নেতা মাও সেতুং এবং বাংলাদেশের নেতা মওলানা ভাসানীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৬৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চীন বিপ্লব দিবসে মওলানা ভাসানীর চীন সফর এবং চীনে সাত সপ্তাহ অবস্থানের মাধ্যমে এ সম্পর্কের সূচনা হয়। আজ চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।

ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ গণসাংস্কৃতিক দলের সভাপতি সরদার শামস আল মামুন, এনডিপি মহাসচিব মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কামাল ভূঁইয়া প্রমুখ।