নিখোঁজের তিনদিন পর সরিষাবাড়ী থেকে ২ ও ভূয়াপুর থেকে ১ জুয়াড়ির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের চর বাসুরিয়া এলাকায় যমুনা নদীতে ভেসে উঠা ছানোয়ার হোসেন ছানু, ফজলুল হক ফজল ও টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর এলাকায় যমুনা নদী থেকে হাফিজুর রহমান নামে ওই ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার দুর্গম চর বাসুরিয়ার যমুনা নদীর তীরে জুয়াড়ি আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে ‘ওয়ান টেন’ নামে জুয়ার আসর চলে আসছিলো। এ নিয়ে স্থানীয় অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে জুয়ার আসরের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাধে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন জুয়াড়ি আব্দুল মান্নান। এ সময় ৩ জুয়াড়ি উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু, গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের সাখারিয়া গ্রামের জমসের আলী খানের ছেলে হাফিজুর রহমান ও ভুয়াপুরের গবিন দাসি গ্রামের আব্দুল বারেক মণ্ডলের ছেলে ফজলুল হক ফজল নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য যমুনা নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকে ওই ৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির দল চর বাসুরিয়া যমুনা নদীতে নিখোঁজ ওই ৩ জুয়াড়িকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে রোববার তাদের লাশ ভেসে উঠে।সরিষাবাড়ি থানার পুলিশ ২ জনের এবং ভূয়াপুর থানা পুলিশ একজনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন।
এ ঘটনায় সরিষাবাড়ির থানার এক এস আই ও পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়েছে।