অভিনেত্রী হওয়ার আগে মিমির হাতখরচ ছিল মাসে ৩ হাজার টাকা!

ভারতে এখন অনেক মা-বাবাই চান তাদের ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে অভিনয়শিল্পী হোক। তবে বেশ কয়েকবছর আগেও দেশটিতে অবস্থা এমন ছিল না। আর সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বিষয়টা ছিল আরও কঠিন। ছেলে-মেয়েরা অভিনয় পেশায় যাবে, বিষয়টিকে এত সহজে মেনে নিতে পারতেন না বাবা-মায়েরা। তবুও শত প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অনেক ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রী। যার অন্যতম উদাহরণ কলকাতার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তিনি একজন সাংসদও।

মিমির উঠে আসা জলপাইগুড়ি জেলার একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। সম্প্রতি অভিনেত্রী হিসাবে নিজের উঠে আসার কথা ‘হইচই’ টিভিকে জানান তিনি।

মিমি বলেন, ‘১১ বছর হয়ে গেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হব। একা লড়াই করেছিলাম এই জায়গাটায় আসার জন্য। প্রথমে মিথ্যা কথা বলে এসেছি, বলেছিলাম পড়াশোনা করতে যাচ্ছি কলকাতায়। ৩ হাজার টাকা বাড়ি থেকে পাঠাতো। সেটা দিয়ে পিজির ভাড়া দেব কী? খাব কী? নতুন জামা কিনব কী? অডিশনে কী করে যাব! হতো না। এক বছর সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সবকিছু গোছালাম। প্রথমে মডেলিংয়ে সুযোগ পাই, তারপর সিরিয়াল, তারপর ফিল্ম।’

সম্প্রতি, ‘ড্রাকুলা স্যার’ ছবিতে ভিন্ন ঘরানার চরিত্র ‌‘মঞ্জরী’-তে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হন মিমি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখন এমন শক্তিশালী চরিত্রই বেছে নেয়ার চেষ্টা করি। আমার এতদিনের সমস্ত চরিত্রগুলোর থেকে মঞ্জরী একটা লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্র। সে হয়ত যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিতে পারেনি। যুদ্ধটা চালিয়ে গেছে। আদর্শের জন্য, ভালোবাসার জন্য।’