রক্তাক্ত ক্যামেরুনের স্কুল, চূড়ান্ত বর্বরতা বলল জাতিসংঘ

মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের একটি স্কুলে ঢুকে ৮ শিশুকে নিমর্মভাবে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ আরও বেশ কয়েকজন শিশুর অবস্থা গুরুতর।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুম্বা শহরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢুকে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। শনিবার ২৪ অক্টোবরের এই ঘটনায় সেখানে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানা যায়, এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে কুম্বা শহরে আসে। এরপর সরাসরি সেখানকার একটি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালায় হামলাকারী। এতে কোমলমতি খুদে শিক্ষার্থীদের রক্তে ভেসে যায় স্কুলের বেঞ্চ।

এতে এ পর্যন্ত ৮ শিশু নিহত মারা গেছে এবং গুরুতর জখম হয় অন্তত ১০ জন। এ সময় বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর সময় আরও কয়েকজন শিশু আহত হয়।

হামলর সময় ইসাবেল ডায়োন নামের এক শিক্ষার্থী তার ১২ বছরে বোনকে ক্লাসে খুঁজতে গেলে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তার পাকস্থলী বেয়ে রক্ত ঝরছিল বলে রয়টার্সকে বলে ইসাবেল।

ইসাবেল জানায়, সে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মা আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। তার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যায়। সৃষ্টিকর্তা তোমাকে বাঁচাবে বলে সান্ত্বনা দেই।

বন্দুকধারীর হামলায় নিহতদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এ ঘটনায় আহত আরও আটজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

কী কারণে এই হামলা চালিয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে এখনো কিছু জানা যায়নি। 

হামলার ঘটনাটি কুম্বা অঞ্চলে চলমান সরাকারি বাহিনী ও ইংরেজি ভাষাভাষী সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও স্পষ্ট নয়। 

২০১৭ সাল থেকে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে ওই এলাকায় শতাধিক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া এসব ঘটনার কারণে সেখানকার শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়, অনেকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

এমন বর্বর হামলাকে জঘন্য ঘটনা অ্যাখা দিয়েছে জাতিসংঘ।