ডেঙ্গু প্রতিরোধে ২ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযানে ডিএনসিসি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ২ নভেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশেনে (ডিএনসিসি) ১০ দিনব্যাপী বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম (চিরুনি অভিযান) শুরু হচ্ছে। অভিযানের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনলাইনে এ জরুরি সভার আয়োজন করা হয়।

ডিএনসিসির যেসব হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী রয়েছে সেসব হাসপাতালের আশপাশে নিবিড়ভাবে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী থেকে সংক্রমণ যাতে না ঘটে সেজন্য মেয়র এ নির্দেশ দেন।

এছাড়া হাসপাতালে অবস্থানরত ডেঙ্গু রোগীদের ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের বাসার আশপাশে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে বলেন মেয়র।

আতিকুল ইসলাম বলেন, যে কোনো মূল্যে নগরবাসীকে মশা এবং মশাবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। এ জন্য চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক আমদানি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে এবং আরও আনা হচ্ছে।

সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ মুহূর্তে ডিএনসিসিতে ১২ ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। ডিএনসিসি এলাকার পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে এ সব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। ইতিমধ্যে এই ১২ রোগীর ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বাসার আশপাশে মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কারা মহাপরিদর্শক ও ডিএনসিসির সাবেক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, উপ প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে: কর্নেল মোস্তফা সারোয়ার, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।