দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাতে যোগ্য প্রার্থীরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হতে পারে, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গভবনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গেলে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়। তাই শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা যাতে নিয়োগ পায় তা নিশ্চিত করতে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যত্রম সম্প্রসারণ ও এর গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর জোর দিতে হবে। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো অনিয়ম দূরীকরণে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য ইউজিসি-কে পরামর্শও দেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯’ পেশ করেন। এ সময়, ইউজিসি চেয়ারম্যান গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার অগ্রগতিসহ কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। করোনাকালে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২১৫০ শিক্ষার্থীকে মোবাইল কেনার জন্য ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে জানান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।