ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর লোকজন প্রতিটি কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এ ভোট সুষ্ঠু হওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।’ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণেরও অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী।
এর আগে জাহাঙ্গীর হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারাই দেখেন, কোনো কেন্দ্রে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট আছে কি না? প্রতিটি কেন্দ্র থেকেই জোর করে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রতারণামূলক ভোটের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।’
সকালে ভোট শুরুর আগে থেকেই কেন্দ্রগুলোতে যেতে শুরু করেন বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই তিনি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, উত্তরা মডেল হাই স্কুল, নওয়াব হাবিবুল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
এসব কেন্দ্রের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির প্রার্থী আরো বলেন, ‘আমি খবর নিয়েছি, কোনো কেন্দ্রেই আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিছু কেন্দ্রে ঢুকতে পারলেও জোর করে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যেভাবে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে, ঠিক একইভাবে ঢাকা-১৮ আসনেও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বিজয়ী হতে চায়। তার জন্য যা যা করা দরকার, সব করছে।’
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এ উপনির্বাচন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা যাচাই করার একটা উত্তম সুযোগ ছিল; কিন্তু তারা সেটা করেনি। এ উপনির্বাচনের মাধ্যমে তারা যাচাই করতে পারত তারা কতটা জনপ্রিয়, কিন্তু সে পথে না গিয়ে তারা ভোটারবিহীন নির্বাচনের পথে গেছে।’
বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, ‘এ নির্বাচনে ভোটের কোনো পরিবেশ নেই। তারা তাদের দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে, জনগণের গণতন্ত্র হরণ করেছে, ভোটাধিকার হরণ করেছে।’
ধানের শীষের প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেভাবে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে, ঢাকার বাইরে থেকে, গাজীপুর, সাভার থেকে সন্ত্রাসী এনে জড়ো করেছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারছে না, তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। শুধু আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নয়, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও তাদের সহযোগিতা করছে, আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে বের করে দিচ্ছে। ভোটার তো দূরের কথা, আমাদের এজেন্টও ঢুকতে দিচ্ছে না।’
বিএনপির প্রার্থী আরো বলেন, ‘মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতনে আমাদের ১০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থককে ধরে নিয়ে গেছে। দুজন এজেন্টকে বের করে দিয়েছে, এখন এ কেন্দ্রে কোনো এজেন্ট নেই।’
যুবদলের এই নেতা বলেন, ‘তারা কোনোভাবে চায় না জনগণ ভোট দিতে আসুক। জনগণ ভোট দিতে এলে আওয়ামী লীগের পরাজয় হবে। জনগণ ধানের শীষে ভোট দেবে। আইনে বলা আছে, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা থাকবে, অথচ আওয়ামী লীগ প্রতিটি কোন্দ্রের সামনে ক্যাম্প বসিয়েছে। কারণ তারা চায় না কোনোভাবে ভোটাররা ভোট দিতে আসুক।’