দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের অনুপ্রেরণায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে চট্টগ্রামের ৩৪ জন জলদস্যু।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করে।
হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া এসব জলদস্যুদের বিরুদ্ধে চলমান অন্যান্য মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব। তবে যথাযথ নিয়ম মেনেই তা করা হবে।
গেলো কয়েক বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জলদস্যুরা। টিকতে না পেরে তারা বেছে নেয় আত্মসমর্পণের পথ। চট্টগ্রামের বাঁশখালী, মহেশখালী, চকরিয়া ও কুতুবদিয়ার ১১টি বাহিনীর ৩৪ জন জলদস্যু আজ আত্মসমর্পণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে নগদ ১ লাখ টাকা ও আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত র্যাব চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪৮ জন জলদস্যুকে আটক করে। উদ্ধার করে ৭৯৭টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮৮৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ। এছাড়াও ২০১৮ সালে ৪৩ জন জলদস্যু র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে।