ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে বেশ রাগান্বিত দেখা গেছে বোলিংয়ের সময়। ম্যাচের ১৩ তম ওভারের সময় নাসুম আহমেদ দুই ছয় দেয়ার পর বেশ দৃষ্টিকটু আচরণ করতে দেখা যায়। এরপর ১৭ তম ওভারে তো মেজাজই হারান।
অর্ধশতক হাঁকানো আফিফ হোসেন যখন একা হাতে ঢাকাকে হারিয়ে দেয়ার মিশনে তখন শফিকুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলেন ৫৫ রানের মাথায়।
আফিফের ক্যাচ ধরতে মুশফিকের সঙ্গে আসেন শর্ট ফাইন লেগে থাকা নাসুম আহমেদ। ক্যাচটা মুশফিক ধরেন তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে মারার মতো আচরণ করেন নাসুমকে।
তবে শেষ পর্যন্ত এলিমিনেটরে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে বেক্সিমকো ঢাকা।
দুপুরে এলিমিনেটরের ম্যাচে টসে জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার তিন টপ-অর্ডার নাঈম শেখ ৫, সাব্বির রহমান ৮ আর আল-আমীন ফেরেন শূন্য রানে।
দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ইয়াসির আলী। মুশফিক ৩০ বলে ৪৩ আর ইয়াসির আলীর ৪৩ বলে ৫৪ রানে ফেরার পর আকবর আলীর ৯ বলে ২১ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ১৫০ রান তুলে ঢাকা।
বরিশালের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান ও কামরুল ইসলাম। ১টি উইকেট করে নেন তাসকিন আহমেদ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তামিম ইকবাল আর সাইফ হাসানের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ২১ রান। সাইফ ১২ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন শফিকুল ইসলামের বলে। এরপর পারভেজ হোসেন ১১ বলে ২ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলকে ১০৬ রান পর্যন্ত টেনে নেনে আফিফ হোসেন। তবে ৩৫ বলে আফিফের ৫৫ রানের বিদায়ে মেহেদী মিরাজ, মাহিদুল অংকনরা জেতাতে পারেননি দলকে। বরিশাল শেষ পর্যন্ত থেমে যায় ৯ উইকেটে ১৪১ রানে।
৯ রানের জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে খেলবে ঢাকা।