নতুন ফুটবল মৌসুমে ৫২ বিদেশির মধ্যে মাত্র দুইজন জাপানের। দুইজনই বাংলাদেশের ফুটবলে পুরোনো। উরু নাগাতা গত মৌসুমের মতো এবারও মোহামেডানে। অধিনায়কের দায়িত্বও তার কাঁধে।
অন্যদিকে শেখ জামাল থেকে এবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে নাম লিখিয়েছেন ইউসুকে কাতো। দলটির যখন আর্থিক সংকটে। খেলাই যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তখন এই জাপানি রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ক্লাবও তাকে সম্মানিত করেছে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরিয়ে।
২০০২ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক জাপানের দুই ফুটবলার মুখোমুখি হয়েছিল রোববার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। দুইজনই মধ্যমাঠের কূশলী খেলোয়াড়। মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধার জার্সির আড়ালে দুই জাপানির লড়াইও দেখলো দর্শক।
মোহামেডানের দ্বিতীয় ম্যাচ হলেও মুক্তিযোদ্ধার ছিল প্রথম। প্রথম ম্যাচটি জিতলেই দলটি টিকিট পেতো কোয়ার্টার ফাইনালের। কিন্তু তারা যে দাঁড়াতেই পারেনি মোহামেডানের সামনে! মাঝমাঠে দুই দলের বল দখলের যে লড়াই ছিল সেখানে বড় ভূমিকায় ছিলেন দুই দলের দুই দলপতির। ম্যাচের পর ইউসুকে কাতো মুখ ভার করে মাঠ ছাড়লেও বিজয়ের হাসি ছিল উরু নাগাতার মুখে।
মোহামেডান বড় ব্যবধানে জিতলেও কাগজ-কলমে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত নয়। যদিও বাস্তবতা বলছে কঠিন কাজ করে মুক্তিযোদ্ধার গ্রুপপর্ব টপকানো কঠিন। তারপর মোহামেডান সমর্থকদের অপেক্ষায় থাকতে হবে আবাহনী ও মুক্তিযোদ্ধার মধ্যকার গ্রুপের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।
আবাহনীর কাছে হারার পর চ্যালেঞ্জ বেড়ে গিয়েছিল মোহামেডানের। ডাগআউট থেকে অস্ট্রেলিয়ান শন লিনের কৌশল এবং মাঠে নাগাতার নেতৃত্ব মিলিয়ে দারুণ এক বিকেলেই গেলো সাদাকালোদের। প্রতিপক্ষের জালে মোহামেডানের চার গোল কমই দেখা যায়। সেই কাজটি করেই তারা দারুণভাবে ফিরে আসলো ফেডারেশন কাপে।